বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:৫২ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ আমার বাবারে তোমরা ফিরাইয়া দেও, আমার বুকের ধনেরে ওরা মাইরা ফালাইছে গো, ভিখারী মা এর বুক ফাটা কান্না আর আহাজারিতে ভারী হয়ে যাচ্ছে মুক্তাগাছার আকাশ বাতাস! শুধুই দিন মজুর বাবা আর পরিবার সদস্য নয়, পুরো এলাকা আর আশেপাশের মানুষ নির্বাক! তাদের দাবি, স্কুল ছাত্র কিশোর রিফাত হত্যাকারীদের ফাসি চাই। সরেজমিন তদন্ত থানা সূত্রে জানা যায়, ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় উপঃ বড়গ্রাম ইউপি’র মির্জাকান্দার দিনমুজুর বাবা- মোঃ হাফিজুল ইসলাম, মাতা- আনোয়ারা খাতুনের সর্বকনিষ্ঠ ছেলে কাতলাসা শহীদ স্মৃতি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণির ছাত্র মোঃ রিফাত(১২) কে নৃশংসভাবে হত্যা করে। গ্রেফতারকৃত আসামি মিরাজ মিয়া (২০) পিতা- শাহেদ আলী, গ্রাম হরিরামপুর, থানা- মুক্তাগাছা, জেলা- ময়মনসিংহ। সূত্র জানায়, গত ২৭ জানুয়ারি’২৫ বিকাল আনুমানিক ৪টার দিকে মির্জাকান্দার জনৈক মোঃ হাফিজুল ইসলাম (৫০) এর বাড়ী হতে ভাড়াকৃত অটোভ্যান গাড়ি নিজে চালানোর উদ্দেশ্যে স্থানীয় মোগলটুলা বাজার থেকে নিহতের মা মোছাঃ আনোয়ারাকে নিজ বাড়ির আঙিনায় নামাইয়া চেচুয়া বাজারে যাওয়া পর বাড়িতে ফিরতে বিলম্বের কারণে ভিক্টিমের মোবাইলে কল করলে পাওয়া যায়। পরবর্তীতে আশেপাশের এলাকায় খোজাখুজির পর না পেয়ে নিহতের বড় ভাই মোঃ আরিফ হোসেন (২১) বাদী হয়ে স্থানীয় পুলিশ স্টেশনে সাধারণ ডাইরি করার পর ভিকটিম উদ্ধারে মুক্তাগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ কামাল হোসেনের নেতৃত্বে তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক মিঠু মিয়া ও সঙ্গীয় ফোর্স সঙ্গে নামে। অবশেষে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় সাত দিন পর আজ খুনি মিরাজ মিয়াকে শহরের উপকণ্ঠ ভাবকীর মোড় এলাকা থেকে গ্রেফতার পরবর্তী বড়গ্রাম ইউপি’র নরকোনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এর দক্ষিণাংশে জনৈক সেনা সদস্য (অবঃ) এর চাষের ক্ষেতে বস্তাবন্দি অবস্থায় ভিকটিম এর গলাকাটা লাশ র্যাব ও ডিবি ময়মনসিংহ এর সহায়তায় মুক্তাগাছা থানা পুলিশ। ধারণা করা হচ্ছে নিহত রিফাতকে শ্বাসরোধ তাৎপরবর্তী ধারালো ছুরি দিয়ে জবাই করে হত্যা করে পাষন্ডরা।
এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানায় চাঞ্চল্যকর রিফাত হত্যা মামলার মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে এবং লাশ ময়নাতদন্তে মমেক হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।